ওয়েব ডিজাইন?


ওয়েব ডিজাইন? বলতে আমরা যা বুঝি একটি ওয়েবসাইট কে সুন্দরভাবে ডিজাইন করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় ওয়েব ডিজাইন । বর্তমান বাংলাদেশের ওয়েব ডিজাইন কে অনেক লোক পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। ওয়েব ডিজাইনের মাধ্যমে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে ডিজাইন করে এটির মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন সাইডকে প্রমোট করা যায়। ওয়েব ডিজাইনের মাধ্যমে আমাদের বেকারত্ব দূর হয়েছে । এটি পেশা হিসেবে অনেক ভালো সাড়া পড়েছে।আজকাল দেখা যাচ্ছে ইন্টারনেটের ব্যবহার সবখানে। কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে অনেক কিছু শেখা যায় তা জানা যায় বা পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া যায় সেটা হয়তোবা সবাই সবার দ্বারা সম্ভব হয় না ।


আরও পড়ুন..


T-shirt design শিখে মাসে ৬ লাখ টাকা আয়।


Tiktok কে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম 

 

ইন্টারনেট ব্যবহারকারী থাকা সত্ত্বেও দিনের-পর-দিন এর ব্যবহার ও বিভ্রমের। ছোট বড় কোম্পানি অনলাইন ব্যবসা অনলাইন ইন্টারনেট মার্কেটিং করার জন্য হতে পারে অনলাইন মার্কেটপ্লেস বা অনলাইন প্রোমোশন বা অনলাইন সার্ভিস প্রদানের জন্য বা কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ওয়েবসাইট বানানো হয়। তাবে একেকটি ওয়েবসাইটের ডিজাইন একেক রকম হয়ে থাকে। কোনটি অনেক সুন্দর দেখতে হয় কোনটির একটু দুর্বল হয় ।সবকিছু নির্ভর করে একজন ওয়েব ডিজাইনার এর উপর। তিনি যেভাবে ওয়েবসাইট এর রূপ দেয় তেমনি ওয়েব সাইট তৈরি হয়। একটি ওয়েব ডিজাইনার আমরা দেখতে পারি এখন বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট ডিজাইন করেন এবং  ডিজাইন ওয়েব সাইটটি ডিজাইনার  দক্ষতার সাথে  তা ব্যবহার করে ।ওয়েবসাইট বিষয় সম্পর্কে বিস্তর পড়াশোনার দরকার রয়েছে ।বর্তমান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব ডিজাইনের উপর কোর্স চালু করা ।


আমরা চাইলেই হয়তো অনলাইনে ওয়েবসাইট ডিজাইনের শিখতে পারি। ওয়েব ডিজাইনার অনেক ভাবে করা যায় । হোক সেটা অনলাইন বা সেটা অফলাইন । আধুনিক বিশ্বে বর্তমান কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনের মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইন কোর্স গুলো করা যায় । এখান থেকে নিজে কিছু অর্জন করে এটিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব। যা আমাদের বেকারত্ব দূর করতে সাহায্য করবে। ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য বিশেষ কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। সে ক্ষেত্রে অল্প ইচ্ছাশক্তি থাকলে হবে । অনেক সময়ের দরকার কিন্তু থাকতে হবে জানেন তো ধৈর্যের ফল সবসময় মিষ্টি হয় । এজন্য আমাদের জানতে হবে ফটোশপ। ফটোশপের বেসিক কিছু শিখতে হবে। কারণ একটি ওয়েবসাইট বানানোর জন্য আগে আমাদের একটি ধারণা থাকা দরকার।


ডিজাইন করার জন্য ফটোশপ তা বানিয়ে নিতে হবে এতে ওয়েবসাইট বানাতে অনেক সুবিধা হবে এবং সুন্দরভাবে ভালোভাবে সবকিছু করা যাবে । তারপর দুই হচ্ছে এইচটিএমএল এর অর্থ হচ্ছে হাইপার টেক্সট মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ । যা এক‌ রকম কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ ভাষা। ভাষা সাধারণত তিন প্রকার হয় ।আর এইচটিএমএল সাধারণত মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ । একটি ব্যবহার করে ওয়েব সাইট বানানো হয়। এইচটিএমএল শেখার জন্য সহজ শিক্ষা রয়েছে এবং এরপর আপনি একটি ওয়েব পেজ তৈরি করতে পারবেন। এরপর জানতে হবে সিএসএস ।


এর অর্থ হচ্ছে স্টাইল শীট কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ ।  আমাদের এইচটিএমএল দ্বারা তৈরি পেজের গঠনকে ডিজাইনিং করি । একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় বানাতে পারে সিএসএস।এর  মাধ্যমে আরও অনেক কিছু কাজ হয় সেগুলো বিস্তার ক্লাসের মধ্যে করা হয় । তার পর হচ্ছে জাভাস্ক্রিপ্ট ।জাভাস্ক্রিপ্ট এক ধরনের ক্লিক সাইট স্ক্রিপ্টিং ল্যঙ্গুয়েজ। এটি একটি ওয়েব পেজে বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া গুলি প্রভাবিত করার জন্য ব্যবহার করা হয় ।একজন ভালো এক্সপার্ট ওয়েব ডিজাইনের জাভাস্ক্রিপ্ট জ্ঞান থাকা জরুরি ।এক কথায় বলা যায় একজন ওয়েব ডিজাইনারের জাভাস্ক্রিপ্টে জ্ঞান না থাকলে তার দ্বারা ওয়েব ডিজাইন করা সম্ভব নয়। ওয়েব ডিজাইন যেহেতু একটি লং প্রাক্টিস বিষয় অনেক সময়ের দরকার  কম হলেও পাঁচ থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়।


ওয়েব ডিজাইন শিখতে গিয়ে অনেক সময় দেখা যায় এক থেকে দেড় বছর লাগতে পারে।  ওয়েব ডিজাইন শিখতে  পারলে আমরা আমাদের কর্মসংস্থান করতে পারব। চাকরি দিকে তেমন যুক্ত হবে না। ঘরে বসে নিজেরাই নিজেদের ইনকাম করতে পারব। ওয়েব ডিজাইন ওয়েব জগতে অনেক কাজের চাহিদা রয়েছে যা করে আমরা আমাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারি। যারা ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত শিক্ষা রয়েছে তাদের বাংলাদেশের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরির সুবিধা রয়েছে ‌। পরিশেষে বলা যায় ওয়েব ডিজাইন শিক্ষে আমরা আমাদের ব্যক্তিজীবনে এবং জাতীয় জীবনে ভালো কিছু করতে পারবো এবং বৃহৎ চাকরির বাজারে আমার নিজেরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবো ।

learnearn464.xyz

আমি আমার অবসর সময়ে কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি।

Comment message

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post